মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২৮ দফা শান্তিচুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষর করাতে ইউক্রেনকে সময়সীমা বেধে দিয়েছে ওয়াশিংটন। এ সময় সীমার মধ্যে চুক্তি মেনে না নিলে ইউক্রেনকে কোনো ধরনের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও অস্ত্র সরবরাহ সীমিত বা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
২১ নভেম্বর শুক্রবার ফক্স নিউজ রেডিওকে ট্রাম্প বলেন, প্রস্তাব গ্রহণের জন্য কিয়েভের উপযুক্ত সময় আগামী বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একটা পর্যায়ে জেলেনস্কিকে কিছু না কিছু গ্রহণ করতে হবে। যদি গ্রহণ না করেন, তাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো গতি নেই।”
রয়টার্সের তথ্য মতে, আগের যে-কোনো আলোচনার তুলনায় এবার কিয়েভের ওপর মার্কিন চাপ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র চায় আগামী বৃহস্পতিবারের(২৭ নভেম্বর) মধ্যেই ২৮ দফার একটি শান্তিচুক্তির কাঠামোয় স্বাক্ষর করুক ইউক্রেন।
চুক্তির পরিকল্পনায় রাশিয়ার মূল দাবিগুলোর কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া, সামরিক বাহিনীর আকার কমানো এবং সংবিধানে উল্লেখ করে ন্যাটো জোটে যোগদানে বিরত থাকা।
এ চুক্তির বিষয় আলোচনা করতে একটি মার্কিন সামরিক প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কিয়েভে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছে। মিশনে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠককে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ২৮ দফার শান্তিচুক্তি অনুসারে, ইউক্রেনকে পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চল রাশিয়ার হাতে ছাড়তে হবে। বিনিময়ে, রাশিয়া কিছু দখলকৃত অঞ্চল ছাড়বে। এছাড়া ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ৬ লাখে সীমিত করা হবে এবং দেশ কখনো ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেছেন, প্রস্তাব চূড়ান্ত সমঝোতার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিয়েভ যদি আলোচনায় না আসে, তবে কুপিয়ানস্কে রুশ সেনাদের সফল অভিযান অন্যান্য অংশেও পুনরাবৃত্তি হবে। তিনি আরও জানান, গত আগস্টে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মস্কো কিছু ছাড় দিয়েছে।











